কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, নূর আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২৫ অগাস্ট নতুন তারিখ ঠিক করে তাকে নতুন করে নেটিস পাঠিয়েছেন দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক এস এম আখতার হামিদ ভূঞা।
এর আগে গত ২২ জুলাই এক নোটিসে নূর আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুদক। তাবে ৩১ জুলাই ঢাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির থাকতে বলা হয়।
কিন্তু নূর আলী বুধবার দুদকে উপস্থিত না হয়ে তিন মাস সময় চেয়ে লিখিত আবেদন পাঠিয়ে দেন।
প্রনব বলেন, “আবেদনপত্রে উনি লিখেছেন, অভিযোগের বিষয়ে উনার প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ ও প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য ওই সময় দরকার। কমিশন এ আবেদন বিবেচনা নিয়ে আগামী ২৫ অগাস্ট তাকে দুদকে উপস্থিত হতে নতুন করে চিঠি দিয়েছে।”
দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে ঢাকা সিটি করপোরেশনের জমিতে ১৪ তলা একটি ভবন নির্মাণের জন্য ১৯৯৮ সালে চুক্তি করে বোরাক রিয়েল এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেড।

কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে করা ওই চুক্তি ভঙ্গ করে ১৪ তলার জায়গায় ৩০ তলা ভবন নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়; ২৮ তলা পর্যন্ত নির্মাণও করা হয়।
অথচ ভবনটি ১৪তলা থেকে বাড়িয়ে ৩০ তলা করার প্রস্তাব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনই পায়নি।
পরে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ‘বনানী সুপার মার্কেট কাম হাউজিং কমপ্লেক্স’ নামে ওই ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বোরাক রিয়েল এস্টেটের সঙ্গে ৭০:৩০ অংশীদারিত্বে চুক্তি করে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল।
এর আগে ২০১২ সালে পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া এ ভবন নির্মাণের দায়ে বোরাক রিয়েল এস্টেটকে ৩২ লাখ ৫২ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের তৎকালীন পরিচালক (এখন দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিমের সমন্বয়ক ও প্রশাসন শাখার মহাপরিচালক) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী তখন বলেছিলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ অনুযায়ী ভবন নির্মাণের আগে অবস্থানগত ছাড়পত্র নেওয়া হয়নি। এছাড়া সিটি করপোরেশনের সঙ্গে বন্দোবস্ত চুক্তিতে ১৪ তলা ভবন নির্মাণের উল্লেখ রয়েছে। ৩০ তলা ভবন নির্মাণের কথা উল্লেখ নেই।
এ ধরনের প্রকল্পের জন্য সবুজ এলাকা, উন্মুক্ত স্থান, স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন, গ্রাউন্ড ওয়াটার রিচার্জকল্পে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ও সংরক্ষণ ব্যবস্থা থাকা অত্যাবশ্যক বলে জানিয়েছিলেন তিনি।