স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েটি। বাড়ির কাছাকাছি চলে এসেছিল সে। তার আগেই পড়তে হলো ভয়ংকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি। পার্শ্ববর্তী এক লম্পট তাকে জোর করে নিয়ে পাশের নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটি এখন হাসপাতালে।
ঘটনাটি ঘটেছে সিলেটের বিশ্বনাথে। উপজেলার মুফতিরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী সে। তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত বুধবার বিকেলে বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়নের চৌধুরীগাঁও গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবদুস শুকুরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে এলাকার মাতব্বরা তৎপর বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানাগেছে, উপজেলার মুফতিরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী গত বুধবার বিদ্যালয় থেকে বাড়ি যাচ্ছিল। বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছালে স্থানীয় চৌধুরীগাঁও গ্রামের আবুল কাহার তাকে জোর করে পাশেই দেয়াল দিয়ে ঘেরা টিউবওয়েলের চাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ধর্ষণ করে তাকে। এ সময় ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সেখানে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন তাঁরা।
বর্তমানে ওই ছাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে এলাকার মাতব্বরা তৎপর রয়েছেন বলেও তাঁরা অভিযোগ করেছেন।
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা অটোরিকশা চালক সাংবাদিকদের বলেন, মেয়েটি স্কুল থেকে বাড়িতে আসছিল। পথে স্থানীয় চৌধুরীগাঁও গ্রামের আবুল কাহার তাকে ধর্ষণ করে। মেয়েকে নিয়ে বর্তমানে ওসমানী হাসপাতালে অবস্থান করছি। সরকার ও প্রশাসনের কাছে ধর্ষকের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, ‘বিষয়টি থানা পুলিশকে কেউ অবহিত করেনি। তারপরও তদন্ত করছি।’