ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের বলিদাপাড়া গ্রামের পিতা আব্দুল গনিকে হত্যার দায়ে তার ছেলে তাহেরুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক এম জি আযম এ রায় প্রদান করেন। আদালত আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নিহত আব্দুল গনি কালীগঞ্জ উপজেলার মোরারকগঞ্জ চিনি কলে কাজ করতেন। এসময় তার মস্তিষ্কের বিকৃতি ঘটে। পরে তাকে অবসর দেওয়া হয়। অবসরের পর তিনি ভিক্ষা করতেন। আর খুনতলা গ্রামে এন্দেশ আলির দরগায় রাত্রি যাপন করতেন। তার ছোট ছেলে আসামি তাহেরুল বাবার সাথে থাকতো ও চিনিকল থেকে পাওনা দুই লাখ টাকা তাকে দেওয়ার জন্য চাপ দিতো। এজন্য বাবাকে মারধরও করতো। পরিবারের লোকজন বাধা দিলে তাদেরও মারধোর করতো। ২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি ভিক্ষা শেষে রাতে দরগায় এসে ঘুমান আব্দুল গনি। তার সাথে থাকা ছেলে তাহেরুল পরের দিন সকালে পরিবারের লোকদের জানান বাবা মারা গেছে। পরিবারের লোকজন গিয়ে দেখেন আব্দুল গনির দাঁত ভাঙা এবং মাথায় ও হাতে রক্তাক্ত জখম রয়েছে।
এই ঘটনার পর নিহতের ভাই আব্দুর রহিম বাদী হয়ে তাহেরুল ইসলামসহ অজ্ঞাত দুই থেকে তিন জনের নামে কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আসামি তাহেরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। সাক্ষ্য প্রমাণে দোষী প্রমাণিত হলে আদালত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী দবির উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এই মামলা নিয়ে তারা এখন উচ্চ আদালতে যাবেন।