বেনাপোল পৌরসভার আওতাভুক্ত ২ নং ওয়ার্ড দুর্গাপুর গ্রামের সড়কটি বেহাল দশায় পতিত হয়েছে। সড়কটিতে যানবাহন চলাচল তো দূরে থাক, সাধারণ মানুষের পায়ে হেঁটে চলাচল করাই দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ছোট যানবাহন চলাচলে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ হাজার মানুষের যাতায়াত। পাশে রয়েছে বন্দর প্রি-ক্যাডেট নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অবহেলা ও অযত্নে পড়ে থাকা সড়কটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় দুই শ পরিবারে বসবাস। সড়কটি সংস্কারের ব্যাপারে বার বার পৌরসভায় ধর্না দিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। জনদুর্ভোগের বিষয়টি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব সহকারে দেখছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
এলাকার লোকজন জানান, এ সড়কে শুষ্ক মৌসুমে ধূলাবালি আর বর্ষা মৌসুমে কাদাপানিতে ভরে যায়। দুই মৌসুমেই চলাচলের সময় পথচারী ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের জামা-কাপড় নষ্ট হয়। আর খানাখন্দের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে অহরহ বিকল হয়ে পড়ছে ছোট আকারের গণপরিবহনগুলো। সুস্থ মানুষরা হয়ে পড়ছেন অসুস্থ। আর অসুস্থদের কথা তো বলাই বাহুল্য। গর্ভবতী নারীদের ডাক্তারি চেকআপে যাতায়াতে যানবাহনের ঝাঁকুনিতে সীমাহীন কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে।
দুর্গাপুর এলাকার বাসিন্দা মনি বলেন, দুর্ঘটনার কবলে পরে হাত-পা ভেঙে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন এই এলাকার অনেক মানুষ। দিন দিন সড়কটি আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। গোটা সড়কের পিচ, খোয়া উঠে অংসখ্য খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। সাম্প্রতিক বর্ষণে পানি জমে ডোবায় পরিণত হয়েছে। যাতায়াত করাই প্রায় অসম্ভব। সড়কটি সংস্কারের জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও লাভ হয়নি।
স্কুলপড়ুয়া সজিব বলেন, আমাদের চলাচলের একমাত্র এই সড়কটির বেহাল দশায় নাভিঃশ্বাস উঠে গেছে। ভাঙা-চোরা আর গর্তে ভরা সড়কে চলাচল করতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। আমরা সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাই।
আরেক বাসিন্দা বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক মুকুল বলেন, সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে জনসাধারণের চলাচলে একেবারে অযোগ্য হয়ে পড়বে। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, এলাকাবাসী, রোগী, অফিসগামীদের যাতায়াতের সময় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বেনাপোল পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর শাহাবুদ্দিন মন্টু বলেন, দুর্গাপুরের ওই সড়কটি বর্তমানে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। সে বিষয়ে আমি অবগত আছি। ঈদের পর শ্রমীক সংকটের কারণে সড়কটি সংস্কার করতে সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করা হবে।