রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সর্বদা একটি সমস্যা সামনে চলে আসছে, যে সমস্যার সমাধান না করলে ভবিষ্যতে আরো বড় ভোগান্তির কারণ হতে পারে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা আগুন নেভাতে গিয়ে এ সমস্যাটির কথা বারবার বলছেন যে, আগুন নেভাতে কোনো পানির উৎস পাওয়া যায়না। গতকাল রাজধানীর রূপনগরের ঝিলপাড় বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডেও সেই একই সমস্যার কথা জানা যায়- স্থানীয়ভাবে পানির অভাব। আর ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে করে দূর থেকে পানি এনে আগুন নেভানো অত্যন্ত দুরুহ। কারণ ভয়াবহ আগুনে এক গাড়ি পানি দ্রুত শেষ হয়ে যায়। এরপর পানি আনতে স্টেশনে ফিরে যেতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকে। এ অবস্থায় প্রতিটি এলাকায় অগ্নিনির্বাপণের জন্য পানির উৎসের ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুর-৭ নম্বর সেকশনে রূপনগর থানার পেছনে চলন্তিকার মোড়ে ঝিলপাড় বস্তিতে আগুনের ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে বস্তির দক্ষিণ পাশের কাঠের তিনতলা একটি ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত। শুরুতে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করলেও ভয়াবহতা বেড়ে যাওয়ায় আরো ১৭টি ইউনিট যোগ দেয়। ফায়ার সার্ভিসের ২৪টি ইউনিটের প্রায় দেড় শ কর্মী, পুলিশ, র্যাব ও স্থানীয় মানুষের চেষ্টায় রাত ১২টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
রাত ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বস্তিটা অনেক বড় এলাকা জুড়ে হওয়ায় আগুন লাগার কারণ তদন্ত সাপেক্ষে বলতে হবে। ফায়ার সার্ভিসের ২৪টি ইউনিট অগ্নিনির্বাপণে কাজ করেছে।’
আগুন নিয়ন্ত্রণে দেরির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে কোনো পানির উৎস পাইনি। পুকুর, খাল বা অন্য কোনো উৎস না থাকায় নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়েছে। তার পরও ফায়ার সার্ভিসের ২২ হাজার লিটারের পাঁচটি গাড়ি কাজ করেছে।’